ভূমি উন্নয়ন কর কিভাবে দিবেন ২০২৪
ভূমি উন্নয়ন কর আইন-২০২৩ অনুযায়ী আগামী ১লা জুলাই থেকে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে । ভূমি উন্নয়ন কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী, প্রতিবছরের ভূমি উন্নয়ন কর, উক্ত বৎসরের ৩০ জুন এর মধ্যে জরিমানা ব্যতীত প্রদানকরা যাইবে। ৩০ জুন তারিখের মধ্যে পরিশোধ না করা হইলে উহা বকেয়া ভূমি উন্নয়নকর হিসেবে বিবেচিত হইবে এবং ১-৩ বছর পর্যন্ত বার্ষিক ৬.৫% হারে জরিমানা সহ আদায়যোগ্য হইবে। ৩ বছর শেষে উক্ত বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করিয়া আদায় করা হইবে। পূর্বের বাংলা সাল অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হচ্ছে না।
জমির উল্লেখযোগ্য ডকুমেন্টস
কোথায় কীভাবে পাবেন জমির এই উল্লেখযোগ্য ডকুমেন্ট?
১. পর্চা বা খতিয়ান।
২. দলিল।
৩.ম্যাপ বা নকশা।
এই ডকুমেন্টগুলো ছাড়া আপনি জমি বিক্রয়, হস্তান্তর অথবা ব্যাংক লোন হতে নানান সমস্যা
হ্য়।
সেকারণে, জমির খতিয়ান, দলিলসহ সকল কাগজপত্র সংগ্রহে রাখার জন্য সরকারি নানান দপ্তর
রয়েছে, যারা ভূমি সংক্রান্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করে রাখে। এখন আপনার কাজ হল, এঁ সকল
দপ্তরগুলো কে নিশ্চিত করে তাদের শরণাপন্ন হওয়া ও কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করা।
নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো, কোথায়, কীভাবে এবং কত সময়ের ভেতরে আপনি জমির
খতিয়ান, দলিল ও নকশা সংগ্রহ করবেন।
প্রথমত, আপনার জমির খতিয়ান বা পর্চা কোথায় পাবেন?
জমির পর্চা বা খতিয়ান মূলত চারটি অফিসে পাবেন। তা হলো,
১/ইউনিয়ন ভূমি অফিস।
২/উপজেলা ভূমি অফিস।
৩/জেলা ডিসি অফিস।
৪/সেটেলমেন্ট অফিস।
ইউনিয়ন ভূমি অফিস বা তহশিল অফিস। ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যদিও খতিয়ান বা পর্চার
বালাম বহি থাকে কিন্তু আপনি এই অফিসে হতে খতিয়ানের কপি নিতে পারবেন না। ইউনিয়ন
ভূমি অফিস হতে শুধু খসরা খতিয়ান নিতে পারবেন যেটা আইনত কোন মুল্য নেই তারপরেও এই
অফিসটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনার জমির খতিয়ান নাম্বার জানা না থাকলে এই অফিস থেকে
জেনে নিতে পারবেন এছাড়া জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর এই অফিসে দিতে হয়।
উপজেলা ভূমি অফিস
যদিও উপজেলা ভূমি অফিসের মূল কাজ নামজারী বা খারিজ বা মিউটেশন করা তবে খসরা
খতিয়ান তুলতে পারবেন। এই অফিস হতেও খতিয়ানের সার্টিফাইড পর্চা বা কোর্ট পর্চা তুলতে
পারবেন না।

জেলা ডিসি অফিস
এই অফিস হতে পর্চা বা খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি সংরক্ষণ করতে পারবেন। এই অফিসের
খতিয়ান এর গুরুত্ব সর্বাধিক। সব জায়গায় এই অফিসের খতিয়ান এর গুরুত্ব রয়েছে।
সেটেলমেন্ট অফিস
শুধুমাত্র নতুন রেকর্ড বা জরিপের পর্চা / খতিয়ান এই অফিস হতে সংগ্রহ করা যাবে।
পাশাপাশি নতুন রেকর্ড এর ম্যাপ ও সংগ্রহ করা যায়।
দ্বিতীয়ত, আপনার জমির দলিল বা বায়া দলিল কোথায় পাবেন?
দলিল বা দলিল এর সার্টিফাইড কপি বা নকল মূলত দুটি অফিস হতে সংগ্রহ করা যায়, তা হলো।
১/উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস।
২/জেলা রেজিস্ট্রি বা সদর রেকর্ড রুম অফিস।
সউপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস
যেখানে নতুন দলিল রেজিস্ট্রেশন করা হয় এই অফিস হতে নতুন দলিলের নকল ও মূল দলিল
পাওয়া যায়। কিন্তু পুরাতন দলিল বা বায়া দলিল এই অফিসে পাওয়া যায় না।
- জেলা রেজিস্ট্রি অফিস বা সদর রেকর্ড রুম।
এই অফিসে নতুন বা পুরাতন দলিলের সার্টিফাইড কপি বা নকল পাওয়া যায়।
আপনার জমির মৌজা ম্যাপ বা নকশা কোথায় পাবেন?
সাধারণত ম্যাপ বা নকশা দুইটি অফিসে পাবেন, তা হলো
১/জেলা ডিসি অফিস
২/ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর (11২) অফিস, ঢাকা।
জেলা ডিসি অফিস:
এই অফিস হতে সিএস, এসএ, আরএস, বিএস যেকোনো মৌজা ম্যাপ সংগ্রহ করা যাবে।
সংগ্রহ করতে যা লাগবে আবেদন ফরম +20 টাকার কোর্ট ফি এবং 600 টাকা নগদ জমা বাবদ বা
ডি.সি.আর বাবদ। অর্থাৎ 530 টাকায় মৌজা ম্যাপ তুলতে পারবেন।
সভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, (তেজগাঁও সাতরাস্তার মোড়), ঢাকা।
সারা বাংলাদেশের যে কোনো মৌজা ম্যাপ সিএস, এসএ, আরএস, বিএস, জেলা ম্যাপ, বাংলাদেশ
ম্যাপ উক্ত অফিস হতে তুলতে পারবেন।
এই অফিসের ম্যাপের গ্রহণযোগ্যতা ও অনেক বেশি। সারা বাংলাদেশের যে কোন ম্যাপ এই
অফিসে পাওয়া যায়। ম্যাপ তুলতে খরচ আবেদন ফরম + কোর্ট ফি + ডি.সি.আর মোট- ৫৫০/-
টাকা মাত্র।
- প্রশ্নঃ ম্যাপ তুলতে কতদিন সময় লাগে?
উত্তরঃ আবেদন করার দিন হতে, ৫-৮ কার্য দিবসের ভিতরে ম্যাপ সরবরাহ করা হয়।
সার্ভিস সমূহঃ
- প্রতিনিধি পেমেন্ট থেকে খাজনা পেমেন্ট করে দাখিলা বের করে দেয়া যাবে। যদি হোল্ডিং এন্ট্রি দেয়া থাকে।
- খাজনা অতিরিক্ত আসলে আপত্তি দিয়ে সমন্নয় করিয়ে দেয়া যাবে।
- হোল্ডিং এর যেকোনো ধরনের ভুল সংশোধনের আবেদন করে ঠিক করা।
- হোল্ডিং নিবন্ধন করতে এন আইডি ইতিমধ্যে নিবন্ধিত দেখায় সেইটার সমধান।
- যেকোনো জেলার সর্বশেষ জরিপের ডিপি খতিয়ান তুলা যাবে।
সার্ভিস সমূহঃ-
- ই নামজারি আবেদন।
- ই খতিয়ান উত্তোলন।
- মৌজা ম্যাপ উত্তোলন।
- ভূমি উন্নয়ন কর সার্ভিস।
- এনআইডি/স্মার্ট কার্ড অনলাইন কপি উত্তোল।।
- উল্লেখিত আমরা সার্ভিস সারাদেশে দিয়ে থাকি।
This post is also available in:
English