TRW Law Firm - Enhanced Mega Menu 2025 Edition with Logo & Contact Sidebar

Let's work together

TRW Global Law Firm

Legal excellence across continents

Our global presence

Dhaka Headquarters
House 410, Road 29, Mohakhali DOHS
Dhaka 1206, Bangladesh
Dubai Regional Office
Rolex Building, L-12 Sheikh Zayed Road
Dubai, United Arab Emirates
London Liaison Office
330 High Holborn, London, WC1V 7QH
United Kingdom

What we do best

Cross-Border Transactions
International business deals, mergers & acquisitions, and regulatory compliance across multiple jurisdictions.
Multi-Jurisdictional Litigation
Complex legal disputes spanning Bangladesh, UAE, UK, and other international territories.
Global Corporate Structuring
Strategic legal advice for multinational corporations establishing presence in emerging and developed markets.
Schedule a consultation
হেবা দলিল কি? হেবা দলিল বাতিলের নিয়ম

হেবা দলিল কি? হেবা দলিল বাতিলের নিয়ম

হেবা দলিলসম্পর্কে আমাদের সমাজে অনেক মতবাদ রয়েছে এবং বিভিন্ন লোক বিভিন্ন ধারণা পোষণ করে। এর অন্যতম কারণ হেবা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকা। যা বাস্তবে ভয়াবহ এবং কখনও কখনও অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়। তাই আমাদের জানা উচিত হেবা কী বা হেবা দলিল কী এবং হেবা দলিল বাতিলের নিয়ম। আজকের নিবন্ধের মূল উদ্দেশ্য হল হেবা দলিল কি এবং হেবা দলিল বাতিলের নিয়ম। চলুন বিস্তারিত জেনে নেই, হেবা দলিল কি।

হেবা সম্পর্কিত মুসলিম আইনের কিছু নিয়ম ও শর্ত রয়েছে। জেনেশুনে ও পালন না করলে যেকোন সময় বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই হেবা করার আগে এর নিয়ম ও শর্ত জেনে নিতে হবে।

হেবা কি

যেহেতু আমাদের সমাজে হেবা সম্পর্কে অনেকেরই ভিন্ন মত বা ধারণা রয়েছে। অতএব, এই সমস্ত বিভ্রান্তিকর ধারণায় বিভ্রান্ত না হয়ে মুসলিম আইন অনুসারে হেবা কী এবং কে হেবা হতে পারে তা বিস্তারিতভাবে জানা গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাথে হেবা বাতিল করা যায় কি না তাও জানা দরকার। বা কিভাবে হেবা বাতিল করবেন।

হেবা শব্দটি আরবি। এর আভিধানিক অর্থ দান। এবং এর ইংরেজি সমতুল্য হল উপহার।মুসলিম আইনে, যদি কোনো মুসলমান স্বেচ্ছায় তার নিজের সম্পত্তি অন্য কোনো ব্যক্তি বা মুসলমানকে বিশুদ্ধ ভালোবাসায়, কোনো বিনিময় বা সুদ ছাড়াই দান করে, তাহলে সেই দানকে হেবা বলা হয়।

অন্য কথায়, বলা যেতে পারে যে, কোনো ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইকে না চাইতে বা অপেক্ষা না করে কিছু দেয় তাকে হেবা বলে।

হিন্দু এবং মুসলিম আইন ছাড়াও, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, 1882 এর 122 ধারা অনুদানকে সংজ্ঞায়িত করে। এই আইন অনুসারে, “দাতা কর্তৃক স্বেচ্ছায় কোনো সম্পত্তি হস্তান্তরিত কোনো ব্যক্তিকে কোনো আগ্রহ না নিয়ে এবং প্রাপক বা তার পক্ষ থেকে কোনো ব্যক্তি গ্রহণ করলে তা হেবা বা দান”।

উক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম হেবা কাকে বলে বা হেবা কাকে বলে। এখন জেনে নেই হেবা ঘোষণার দলিল কী বা হেবা দলিল কী। আসুন জেনে নিই, হেবা দলিল কি।

হেবা দলিল কি?

আগে হেবাকে মৌখিক ঘোষণা দিতে হতো। এখন শুধু মৌখিক ঘোষণাই যথেষ্ট নয়। এখন হেবা ঘোষণা সরকারি স্ট্যাম্প আইন অনুযায়ী নির্ধারিত নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের অধীনে নির্ধারিত সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে লিখিতভাবে নিবন্ধন করতে হবে। এই নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি একটি হেবা দলিল।

দলিল সম্পাদনের পর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে নিবন্ধন করতে হবে। HEBA ডকুমেন্ট রেজি: 1লা জুলাই 2005 থেকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া হেবা দলিলের কোন স্থায়ী স্বার্থ দাবি করা যাবে না।

হেবা দলিলের শর্ত।

হেবা দলিলের ৩টি মৌলিক শর্ত রয়েছে। এগুলো না মানলে দলিল বাতিল বলে গণ্য হবে। হেবা দলিলের ৩ (তিন) শর্ত হল-

  • হেবা বা দান দাতা কর্তৃক ঘোষণা বা প্রস্তাব করা উচিত।
  • প্রাপকের দ্বারা হেবা বা দান গ্রহণ।
  • দাতাকে হেবা সম্পত্তির দখল সুবিধাভোগীকে দিতে হবে।

এসব শর্ত পূরণ হলে হেবা শরীয়ত পূর্ণ হবে।

কোনো বিনিময় মূল্য ছাড়াই রক্তের আত্মীয়দের মধ্যে হেবা স্থানান্তর করা যেতে পারে। যথা-

  • ভাইবোন একে অপরের সাথে প্রতারণা করতে পারে।
  • একজন বাবা/মা তার ছেলে/মেয়ের যত্ন নিতে পারেন।
  • স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হেবা করা যায়। অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে ঠকাতে পারে।
  • হেবা দাদা/ঠাকুমা এবং নাতি/নাতনির মধ্যে পাস করা যেতে পারে।
  • হেবা দাদা-দাদির মধ্যে ভাগাভাগি করা যায়।

উপরের কিছু সম্পর্কের মধ্যে সম্পত্তি হস্তান্তর করা যেতে পারে।

সাধারণভাবে, একজন মুসলমান তার সম্পূর্ণ জমি সম্পত্তি যে কোনো ব্যক্তিকে এমনকি একজন অমুসলিমকেও দান করতে পারে। অন্য কথায়, গ্রহণের ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্ক, অপ্রাপ্তবয়স্ক, পুত্র, নাতি, স্বামী বা স্ত্রী, ধনী-গরিব, যে কেউ দান করতে পারেন এবং তিনি বা তারা বিনা প্রশ্নে দান গ্রহণ করতে পারেন।

উল্লেখ্য, উপরের ১৫টি রক্তের সম্পর্ক ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করলে বিনিময় ছাড়া হবে না। বিনিময় দিয়ে করতে হবে। অন্য কথায়, এটি নির্দেশাবলী অনুযায়ী করা উচিত। অন্যথায় অফারটি বাতিল হয়ে যাবে।

হেবার প্রকারভেদ।


এতক্ষণে, আমরা জেনেছি হেবা দলিল কী এবং শর্তাবলী এবং কে কার কাছে হেবা করতে পারে। এখন আমরা জানবো হেবা কত প্রকার ও কি কি?

হেবা প্রধানত দুই প্রকার। যথা-

  • সাধারণ হেবা।
  • হেবা-বিল-আওয়াজ।

সাধারণ হেবা

যে হেবাতে কোনো প্রকার ফেরত বা বিনিময় নেই এবং দাতা তার দখলকৃত সম্পত্তি প্রাপকের হাতে তুলে দেন তাকে সাধারণ হেবা বলে। আর এই হেবা অবশ্যই উপরের ১৫ জন রক্ত ​​সম্পর্কিত ব্যক্তির মধ্যে থাকতে হবে। কারণ রক্তের সম্পর্কের মানুষের বাইরে হেবা থাকলে আর স্বাভাবিক হেবা থাকে না।

হেবা-বিল-আওয়াজ


হেবা-বিল-আওয়াজ হল সম্পত্তির মূল্যের বিনিময়ে হেবা। অর্থাৎ বিনিময় বা মূল্য। হেবার ক্ষেত্রে এটি একটি বিশেষ ব্যতিক্রম। এই হেবা বৈধ হওয়ার জন্য 2 (দুই) শর্ত পূরণ করতে হবে।

হেবা-বিল-আওয়াজ দাতাকে প্রকৃত ও প্রকৃত অর্থে পরিশোধ করতে হবে।
দাতাকে অবশ্যই তার মালিকানা ছেড়ে দেওয়ার আন্তরিক অভিপ্রায় বা ইচ্ছা প্রকাশ করতে হবে।


হেবা দলিল বাতিলের নিয়ম


বাংলাদেশের প্রতিকার আইন অনুযায়ী, হেবা দলিল রেজিস্ট্রি করার সময় সমস্ত হেবা শর্ত পূরণ করে হেবা ঘোষণার দলিল প্রস্তুত করা হয়। তাই হেবা ঘোষণার দলিল মৌখিকভাবে দাতার দ্বারা নির্ধারিত সম্পত্তির উইল করে: হস্তান্তরকারীর কাছে হেবা সম্পত্তির দখল হস্তান্তর এবং হেবা হস্তান্তরকারী কর্তৃক এর গ্রহণযোগ্যতা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

উপরন্তু, যেহেতু দাতা ও গ্রহীতা উভয়ের স্বাক্ষর এবং সাক্ষীদের স্বাক্ষর এবং শনাক্তকারীর নাম উল্লেখিত নথিতে স্বাক্ষরিত, তাই দখল হস্তান্তর অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।

এমন পরিস্থিতিতে হেবার ঘোষণার দলিল বাতিলের কোনো আইনি ভিত্তি নেই।

যাইহোক, যদি হেবার ঘোষণার নথি বাতিল করার বৈধ এবং যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে, তাহলে আদালতের কাছে যেতে হবে। অর্থাৎ আদালতের মাধ্যমে তা বাতিল হতে পারে।

হেবা দলিল কখন বাতিল করা যায়?


হেবা দলিল সুবিধাভোগীর কাছে দখল হস্তান্তরের আগে দাতা যে কোনো পর্যায়ে বাতিল করতে পারেন। কারণ হেবার তিনটি শর্তের একটি হল দখল হস্তান্তর। দখল হস্তান্তর না হলে হেবা সম্পূর্ণ হয় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে হেবা দলিল বাতিল চাওয়া যেতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ,

সম্পত্তির দাতা বা মালিকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অর্থ প্রদান।
যদি সে কোন প্রকার ভয়ভীতি বা প্রলোভন দেখিয়ে আমল সম্পাদন করে।
দাতা মানসিকভাবে বিকৃত বা অসুস্থ হলে হেবা কাজটি কৌশলে করা হয়।
উপরে উল্লিখিত হেবা দলিলের ৩টি শর্তের যে কোনো একটি মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়া।
সম্পত্তি হস্তান্তর বা দখলের আগে দাতার মন পরিবর্তন হলে।
দখল হস্তান্তরের পূর্বে দাতা-উপভোগীর কেউ মারা গেলে।
সম্পত্তি দাতার দখলে না থাকলে।
তবে কিছু শর্তের পরিপ্রেক্ষিতে হেবা দলিল বাতিল করা যাবে না।

দলিল বাতিল করা যায় না

  • দাতা-গ্রহীতার সম্পর্ক যদি স্বামী বা স্ত্রী হয়।
  • দখল হস্তান্তরের পর সুবিধাভোগী মারা যায়।
  • দাতা এবং প্রাপকের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকলে।
  • রিসিভার দ্বারা হেবা সম্পত্তি বিক্রয় বা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে।
  • সম্পত্তির অবসান বা ধ্বংস বা সম্পত্তির আকার সম্পূর্ণ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে।
  • বন্ধক রাখা সম্পত্তির দাম হঠাৎ বেড়ে গেলে।
  • দান বা হেবা দলিল বাতিলের পদ্ধতি।
  • মুখের কথায় বা শরীরের জোর দিয়ে হেবা আমল বাতিল করা যায় না। আদালতের মাধ্যমে হেবা দলিল বাতিল করতে হবে।

দলিলটি বাতিল করার জন্য আদালতে মামলা দায়ের করা হলে, আদালত মামলার বিষয়বস্তুর মান বিবেচনা করে যুক্তিসঙ্গত মনে করলে উক্ত দলিলটি বাতিল করতে পারেন।

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের 39 ধারা অনুযায়ী, যে কোনো ব্যক্তি একটি লিখিত নথি বাতিল বা অকার্যকরতা চাইছেন, যার যুক্তিসঙ্গত আশংকা আছে যে যদি এই ধরনের লিখিত নথি তার গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে থাকে, তাহলে তিনি বাতিল বা বাতিলযোগ্যতার ঘোষণার জন্য মামলা করতে পারেন। উল্লেখিত লিখিত দলিল। করতে পারা

উল্লিখিত মামলার ভিত্তিতে, আদালত তার বিবেচনার ক্ষমতায় যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পেলে বাতিলের আদেশ দিতে পারে।

এছাড়াও, নিম্নলিখিত কারণে বাতিলের আদেশ দেওয়া আদালতের বিবেচনার ক্ষমতা।

আদালত যদি মনে করেন যে দলিলটি বাদীর পক্ষে ক্ষতিকর।
উল্লিখিত নথিটি প্রকৃতপক্ষে জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পাদিত বা নিবন্ধিত হয়েছে।
হেবার সব শর্ত পূরণ হয় না।
হেবা দলিল সম্পাদনের সময় কোনো সরকারি স্বার্থ রক্ষা করা হয়নি।
এসব কারণে আদালত দলিল বাতিলের আদেশ দিতে পারেন।

এবং যদি মনে হয় যে হয়রানি বা প্রতারণা করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না, তাহলে দলিল বাতিলের আদেশ দেবেন না। এখানে আদালতের সম্পূর্ণ ক্ষমতা বিচক্ষণ, আদালতকে কোনো নির্দিষ্ট ঘোষণা দিতে বাধ্য করা যাবে না।

শেষ কথা


আবেগ কিছুই করে না। আবার জোর করেও কিছু করা যায় না। তাই যেকোন কাজ করার আগে অবশ্যই ভাবুন এবং নিয়মগুলো জেনে নিন। তাই হেবা করার আগে জেনে নিতে হবে হেবা দলিল কি। হেবা দলিল কিভাবে করবেন। আপনি যদি জমা করার নিয়ম জানেন, তাহলে আপনি বাতিল করার নিয়মও জানতে পারবেন।

থানায় জিডি করার নিয়ম

থানায় জিডি করার নিয়ম

জিডি (সাধারণ ডায়েরি) একটি আইনি বিষয়। খুব সাধারণ একটা ব্যাপার। জিডি করার জন্য তাড়াহুড়া বা ভোগান্তির প্রয়োজন নেই। এর জন্য আপনাকে অনেক কিছু জানার বা অধ্যয়ন করার দরকার নেই। তবে জিডি করতে হলে কিছু জিনিস জানতে হবে।


কেন জিডি করবেন?

কারো দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভয় বা ভয়। এটা সহজে মেনে নিতে পারছি না। একটি হারানো আইটেম পুনরুদ্ধার করতে চান. এ ধরনের বিষয়ে জিডি করা উচিত। জাতীয় পরিচয়পত্র (জাতীয় পরিচয়পত্র), পেশাদার পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, চেক বই, লাইসেন্স, শিক্ষা সনদ, নথিপত্র ইত্যাদির মতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হারিয়ে গেলেও জিডি করা যাবে। এছাড়া কেউ জানমালের ক্ষতি করতে চাইলে, হত্যার হুমকি দিলে, কোনো ঘটনা বা কিছু হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে জিডি করলে, ঘটনার পর দোষী ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে জিডি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিডি হারানো জিনিস খুঁজে পেতে এবং আইনি সাহায্য পেতে গুরুত্বপূর্ণ.


তথ্য প্রদান করতে হবে

জিডি বা সাধারণ ডায়েরি করতে আবেদনকারীকে জাতীয় পরিচয়পত্র, পেশাগত বিষয়ের বিবরণসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হয়। যে বিষয়ে জিডি করতে হবে তার বিস্তারিত জিডিতে উল্লেখ করতে হবে।

কিভাবে জিডি লিখতে হয়


থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) এর কাছে পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত নির্ধারিত ফর্মে বা সাধারণ কাগজে জিডি করা যেতে পারে। এতে অবশ্যই ভয়ের কারণ, ভয় পাওয়া ব্যক্তি বা যিনি হুমকি দিয়েছেন তার নাম, ঠিকানা, হুমকির স্থান, তারিখ ইত্যাদি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হবে। কিছু অনুপস্থিত থাকলে, আইটেমটির বিশদ বিবরণ সহ একটি ফটোকপি সংযুক্ত করুন। এ বিষয়ে আপাতত কোনো মামলা করবেন না। তবে মনে রাখতে হবে যে, পুলিশ যদি মনে করে গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তাহলে জিডি করে মামলা করা যেতে পারে।

কোন থানায় জিডি করা হবে

জিডি করার ক্ষেত্রে, সাধারণত ঘটনাস্থলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে বা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে সেই এলাকায় অবস্থিত থানায় জিডি করতে হবে। জিডি করতে যে কোন পরামর্শের জন্য থানায় কর্তব্যরত কর্মকর্তার সহযোগিতা নিন। লিখতে না পারলে তাকে লিখতে বলুন। বিনিময়ে কোনো টাকা দিতে হবে না।


জিডি নম্বর, সময়, তারিখ এবং কর্মকর্তার স্বাক্ষর এবং সিল সহ আবেদনের একটি অনুলিপি আপনাকে প্রদান করা হবে। জিডিটি রেকর্ড করা হবে। আপনার কপি নিজের জন্য রাখুন। জিডি পাওয়ার পর কর্তব্যরত কর্মকর্তা থানার ওসির কাছে পাঠাবেন। আপনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাটি কার্যকর হলে, পুলিশ অবিলম্বে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। পুলিশ আপনাকে জানাবে তারা কী ব্যবস্থা নিচ্ছে।


দেশের যেকোনো নাগরিকের জিডি নিতে বাধ্য পুলিশ। কিন্তু পুলিশ অস্তিত্বহীন, গুরুত্বহীন, তুচ্ছ বিষয়ে জিডি গ্রহণে কম গুরুত্ব দেয়। আবার একই বা তুচ্ছ বিষয়ে বারবার জিডি করার বিষয়টি ভালোভাবে নেবে না পুলিশ।

জিডি সম্পর্কে আইন কি বলে


জিডি করার জন্য পুলিশ আইন, 1861 এর 44 ধারা এবং ফৌজদারি কার্যবিধির 154 এবং 155 ধারা অনুসরণ করতে হবে। থানায় রাখা নির্ধারিত ফরমে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বর্ণনা করে জিডি করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা জিডি ফর্ম 65-এ বিষয়টির বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করবেন।


অনেকে জিডি ও ঘোষণাকে গুলিয়ে ফেলেন। মনে রাখবেন, জিডি এবং ঘোষণার মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। জিডি বলতে কিছু ঘটার আগেই ভয় বা শঙ্কা থেকে জিডি করা। নিকটস্থ থানায় গিয়ে লিখিতভাবে জানাতে হবে। আর কোনো ঘটনা ঘটার পর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যে অভিযোগ দায়ের করা হয় তা বিবৃতি। যাইহোক, প্রায়শই দেখা যায় যে জিডিকে গুরুত্বের বিষয়ে একটি বিবৃতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

কিভাবে অনলাইনে জিডি করবেন


এখন থেকে একজন বাংলাদেশি নাগরিক ঘরে বসেই অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) ফাইল করতে পারবেন। এই কাজের জন্য শারীরিকভাবে থানায় যেতে হবে না।


এখন থেকে একজন বাংলাদেশি নাগরিক ঘরে বসেই অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে পারবেন। এই কাজের জন্য শারীরিকভাবে থানায় যেতে হবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ জুন 2023 মঙ্গলবার ‘অনলাইন জিডি’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে কার্যত রাজারবাগের পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এই অনলাইন জিডি প্রকল্পটি এপিআই এর মাধ্যমে সিডিএমএস প্লাস প্লাস এর সাথে সংযুক্ত করা হবে, একটি সফ্টওয়্যার যা পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকীকরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। 2011 সালে বিকশিত CDMS সফটওয়্যারের মাধ্যমে, বাংলাদেশের সকল থানায় জমা দেওয়া FIR এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য ডিজিটাল আকারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

দেশের নাগরিকরা গুগল প্লে স্টোর বা পুলিশের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন জিডি অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন।

ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), পাসপোর্ট বা জন্ম শংসাপত্র নম্বর ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে পারেন। সফল জিডি করার পরে, ব্যবহারকারীরা একটি অনন্য QR কোড পাবেন, যার মাধ্যমে তারা ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য জিডির ডিজিটাল বা মুদ্রিত কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

কিভাবে অনলাইনে জিডি করবেন:

রেজিস্ট্রেশনে ক্লিক করুন > আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট বা জন্ম শংসাপত্র নম্বর লিখুন > আপনার বর্তমান ঠিকানা লিখুন > আপনার একটি লাইভ ছবি তুলুন > আপনার মোবাইল নম্বর (যা পরে ব্যবহারকারীর নাম হিসাবে ব্যবহার করা হবে) এবং ইমেল ঠিকানা (যদি থাকে) লিখুন এবং সেট করুন একটি পাসওয়ার্ড

আপনার পরিচয় নিশ্চিত করতে SMS এর মাধ্যমে আপনার মোবাইলে একটি OTP কোড পাঠানো হবে (আপনি আগে যে নম্বরটি দিয়েছিলেন)।

মোবাইলে এই OTP কোডটি সঠিকভাবে লিখুন।লগইন পৃষ্ঠায়, ‘লগইন’ এ ক্লিক করুন এবং আপনার মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড লিখুন।


দ্বিতীয় ধাপ

প্রথমে অভিযোগের ধরন নির্বাচন করুন। তারপর আপনাকে নির্বাচন করতে হবে যে জেলা এবং থানায় আপনি জিডি করতে চান। তারপর কোথায় এবং কখন ঘটনা ঘটেছে তা লিখুন এবং ‘পরবর্তী’ এ ক্লিক করুন।

তৃতীয় ধাপ

আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করুন। অভিযোগ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র থাকলে সেগুলো সংযুক্ত করুন। ‘সাবমিট’ বোতামে ক্লিক করুন। ফর্মে কোনো ভুল থাকলে বা সংশোধনের প্রয়োজন হলে ‘সম্পাদনা’ বোতামে ক্লিক করুন। আবেদনটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, আপনি পরে লগ ইন করে আপনার GDA (GD অ্যাপ্লিকেশন) এর সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন।

চেক ডিজঅনার মামলার নতুন নিয়ম ২০২8

চেক ডিজঅনার মামলার নতুন নিয়ম ২০২8

চেক ডিজঅনার মামলার নতুন নিয়ম

হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১ এর চেক ডিজঅনার মামলা নিয়ে জটিল বিষয়গুলো ছোট ছোট আলোচনার মাধ্যমে আমরা এই আর্টিকেল টিতে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করব। আদালতে চেক ডিজঅনারের মামলা সবচেয়ে বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে। তাই এই সম্পর্কে আমাদের সবার কমবেশি ধারণা থাকা প্রয়োজন। তাতে করে আমরা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আরো বেশি সচেতন হয়ে উঠতে পারব।

চেক ডিজঅনার বলতে কী বুঝায়?

রহিম  নামে এক ব্যক্তির প্রয়োজনে স্বরণ নামে একজন ব্যক্তি রহিম কে টাকা ধার দিয়েছেন। টাকা দেওয়ার সময় স্বরণ রহিম কে বলেছেন, ভাই তোমোকে যে আমি টাকা দিলাম, তার প্রমাণ তো আমার কাছে থাকল না। আমার তো কিছু প্রমাণ থাকা দরকার। যাকে ধার দিলেন সে বলল, ভাই এই যে আমার চেক। এই চেক তোমাকে ফাকা স্বাক্ষর করে দিলাম। এবার যাকে (রহিম কে) টাকা ধার দিয়েছিলেন তার চেক তো স্বরণের কাছে আছে।

স্বরণ চেকের টাকা তুলে আনতে ব্যাংকে গেলেন। তারপর ব্যাংকে গিয়ে ব্যাংকের কাউন্টারে চেক দিলেন। ব্যাংক অফিসার স্বরণকে বলল, একাউন্টে টাকা নাই। তখন স্বরণ ব্যাংক অফিসারকে বললেন, তা হলে লিখিত দেন। ব্যাংক অফিসার, স্বরণকে একটি লিখিত মেমো দিলো। যাতে লেখা আছে, টাকার পরিমান কম। চেকসহ মেমো নিয়ে স্বরণ ফিরে আসলেন। এই চেক সহ মেমো নিয়ে ফেরত আসার ঘটনাকে চেক ডিজঅনার বলে।

চেক ডিজঅনার করার শর্তসমূহ:

চেক ডিজঅনার করার শর্তগুলো নিচে আলোচনা করা হলো। যথাঃ

ক. চেকের উপরে যে তারিখ লেখা আছে, সেই তারিখ হতে ০৬ (ছয়) মাসের মধ্যে আপনাকে চেক ডিজঅনার করাতে হবে।

খ. ব্যাংক হিসাবে পরিমান মতো টাকা থাকলে আপনি চেক ডিজঅনার করাতে পারবেন না।

গ. ব্যাংকিং সময়ের মধ্যে আপনাকে চেক ডিজঅনার করাতে হবে।

চেক ডিজঅনারের (𝐜𝐡𝐞𝐪𝐮𝐞 𝐝𝐢𝐬𝐡𝐨𝐧𝐨𝐮𝐫) মামলা করার কারণ:

ক. ব্যাংকের হিসাবে অপর্যাপ্ত তহবিল বা অর্থ থাকলে। তার মানে চেকে যে পরিমাণ অর্থ উল্লেখ করা হয়েছে তা অপেক্ষা কম অর্থ হিসাবে থাকা।

খ. যে ব্যক্তি চেক প্রদান করেছে যদি তার স্বাক্ষর না মেলে।

গ. যদি চেকে উল্লেখিত অর্থের অংক ও কথার গরমিল পাওয়া যায়।

ঘ. চেক মেয়াদ উর্ত্তীণ হলে।

ঙ. যথাযথভাবে চেক পূরণ করা না হলে।

চ. চেকে ঘষামাজা করলে।

ছ. চেকে কাটাকাটি থাকলে পূর্ণ স্বাক্ষর দিয়ে তা সত্যকরণ করা না হলে।

(৪) চেক ডিজঅনার মামলা করার পদ্ধতি কি?

ক. প্রথমে আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে চেক ডিজঅনার করে নিয়ে আসতে হবে।

খ. এরপর চেকের টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ (ত্রিশ) দিন সময় দিয়ে উকিল নোটিশ বা লিগ্যাল নোটিশ দিতে হবে।

গ. উকিল নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে, পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে মামলা দায়ের করতে হবে।

আরো সহজ করে বলতে গেলে, চেক গ্রহীতা বা ধারক চেক ডিজঅনারের বিষয়টি জানার পর ১৩৮ ধারার বিধান মোতাবেক ৩০ দিন সময় দিয়ে টাকা পরিশোধের জন্য চেক দাতাকে নোটিশ দিবেন। ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতা চেকগ্রহীতাকে চেকে উল্লেখিত টাকা পরিশোধ করতে না পারলে তার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে চেকগ্রহীতা এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবেন।

মামলা দায়েরের সময় বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র, চেক ডিজঅনারের স্লিপ, লিগ্যাল নোটিশের একটি করে ফটোকপি ফিরিস্তি করে জমা দিতে হবে এবং মামলা দায়েরের সময় মূল কপি আদালতে প্রদর্শন করতে হবে। তাছাড়াও মামলার আরজির সাথে প্রসেস ফি দাখিল করতে হবে।

উকিল নোটিস প্রদান করার পদ্ধতি:

চেক ইস্যুকারীর প্রতি উকিল নোটিস মূলত তিনভাবে প্রদান করা যায়। যথা-

ক. চেক ইস্যুকারীর হাতে নোটিসটি সরাসরি পৌঁছে দেওয়া।

খ. প্রাপ্তি স্বীকার রসিদসহ (এডি) রেজিস্টার্ড ডাকযোগে বাংলাদেশে তার সঠিক ঠিকানায় নোটিস প্রেরণ করা।

গ. বহুল প্রচারিত কোনো বাংলা জাতীয় দৈনিকে ও উকিল নোটিস প্রকাশ করা যায়। একটা কথা বলে রাখা প্রয়োজন, উকিল নোটিস কিন্তু কোন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়ও প্রকাশ করা যাবে।

চেক ডিজঅনারের মামলা করার সময়সীমা:

চেকগ্রহীতা ব্যাংক থেকে চেকটি অপরিশোধিত হয়ে ফেরত এসেছে, তা জানার ৩০ দিনের মধ্যে চেক দাতাকে নোটিশ দিতে হবে।নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতা চেকগ্রহীতাকে টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলো। চেকদাতা টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হবার ১ মাসের মধ্যে চেকগ্রহীতা মামলা দায়ের করতে পারবে।

নোটিশে দেওয়া ৩০ (ত্রিশ) দিন শেষ হওয়ার আগে চেক ডিজঅনারের মামলা করা যাবে কিনা?

নোটিশে দেওয়া ৩০ দিন সময় শেষ হওয়ার আগেও চেক ডিজঅনারের মামলা করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে তা না করাই ভালো। আইন মোতাবেক মামলা করাই উত্তম।

চেক ডিজঅনারের নতুন আইন আমরা জানি পূর্বে শুধুমাত্র চেক ডিজঅনার হলেই চেকদাতাকে সাজা দেওয়া হতো কিন্তু এখন এ আইনের পরিবর্তন করা হয়েছে। চেকগ্রহীতার টাকা পাওয়ার কোনো কারণ আছে কিনা, সেটি দেখা হতো না। এখন চেকগ্রহীতাকে প্রমাণ করতে হবে চেকদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে লেনদেন সম্পর্কিত কোনও বৈধ চুক্তি ছিল এবং মনে রাখতে হবে চেক প্রাপ্তির বৈধ কোনও প্রমাণ দিতে না পারলে চেকদাতার আর কোন সাজা হবে না।

চেক ডিসঅনারের মামলা কোথায় দায়ের করতে হবে?

চেক ডিসঅনারের মামলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করতে হয়। মেট্রোপলিটন এরিয়াতে চেক ডিসঅনারের মামলা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা হয়। আর অন্য এলাকাতে এই মামলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা হয়। তারপর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অথবা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দিবেন। হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১ এর ১৩৮ ধারা অনুযায়ী চেক ডিজঅনারের মামলা দায়ের করা হয়।

নোট: একটা কথা বলে রাখা প্রয়োজন, চেক ডিসঅনারের মামলা কখনো চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কিংবা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিচার করতে পারবে না। প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধির ২০০ ধারা অনুযায়ী নালিশকারীকে পরীক্ষা করবেন। পরীক্ষা করার পর যদি ম্যাজিস্ট্রেট দেখেন নালিশের Primafacie ভিত্তি আছে তাহলে তিনি মামলা আমলে নিয়ে মামলাটি প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দিবেন। তারপর মামলাটি দায়রা আদালত কর্তৃক বিচার করা হবে। চেক ডিজঅনারের মামলা সবসময় সি.আর মামলা হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ এই সকল মামলা সরাসরি এখতিয়ার সম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা হয়ে থাকে।

চেক ডিজঅনারের মামলার বিচার সম্পর্কিত উচ্চ আদালতের নতুন রায়

১৮৮১ সালের হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৪১(গ) ধারা অনুযায়ী, চেক ডিজঅনার এর মামলার বিচার করতে পারে দায়রা আদালত। অর্থাৎ 𝐒𝐞𝐬𝐬𝐢𝐨𝐧𝐬 𝐉𝐮𝐝𝐠𝐞, 𝐀𝐝𝐝𝐢𝐭𝐢𝐨𝐧𝐚𝐥 𝐒𝐞𝐬𝐬𝐢𝐨𝐧𝐬 𝐉𝐮𝐝𝐠𝐞 & 𝐉𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐒𝐞𝐬𝐬𝐢𝐨𝐧𝐬 𝐉𝐮𝐝𝐠𝐞 উনারা সবাই এরূপ মামলার বিচার করতে পারেন এবং এতদিন পর্যন্ত করে আসছেন। তবে সম্প্রতি হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে বলা হয়েছে- এখন থেকে চেক ডিজঅনার এর মামলার বিচার করতে পারবে শুধুমাত্র যুগ্ম দায়রা জজ [Joint Sessions Judge]।

উচ্চ আদালতের এ রায় সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো: চেক ডিজঅনার মামলা শুধুমাত্র যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে শুনানি হবে এবং যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালতেই আপীল করতে হবে। আগে চেক ডিজঅনারের মামলা দায়রা জজ, অতিরিক্ত দায়রা জজ এবং যুগ্ম দায়রা জজ আদালত শুনানি করতো। এক্ষেত্রে দায়রা জজ ও অতিরিক্ত দায়রা জজ বিচার করলে বিচারপ্রার্থীকে চেকের মামলায় আপীল করতে আসতে হতো হাইকোর্টে বিভাগে।এই বিধানটি বৈষম্যমূলক যাহা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ এবং ৩১ এর সাথে সাংঘর্ষিক।রায়ের নির্দেশনা মতে ১৩৮ ধারার চেকের মামলার বিচার কেবলমাত্র যুগ্ম দায়রা জজ আদালত করতে পারবে। দায়রা জজ অথবা অতিরিক্ত দায়রা জজ চেকের মামলার বিচার করতে পারবে না।

গুরুত্বপূর্ণ কেইস রেফারেন্স:

[𝐌𝐝. 𝐀𝐛𝐮𝐥 𝐤𝐚𝐡𝐞𝐫 𝐒𝐡𝐚𝐡𝐢𝐧 𝐕𝐒 𝐄𝐦𝐫𝐚𝐧 𝐑𝐚𝐬𝐡𝐢𝐝 𝐚𝐧𝐝 𝐨𝐭𝐡𝐞𝐫𝐬,𝟐𝟓 𝐁𝐋𝐂 (𝐀𝐃)𝟏𝟏𝟓] এতদিন চেক ডিজঅনার হলেই চেকদাতাকে সাজা দেওয়া হতো। সর্বোচ্চ আদালতের এ রায়ের ফলে এখন থেকে চেকের বৈধ বিনিময় প্রমাণে ব্যর্থ হলে কোনো চেকদাতাকে সাজা দেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে চেকপ্রাপ্তির বৈধ কারণ থাকতে হবে। যদি প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকারের ভিত্তিতে চেক প্রদান করা হয় এবং সেই প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকার যদি বাস্তবায়িত না হয় তাহলে চেক প্রদানকারীর টাকা পরিশোধে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না এবং চেক গ্রহীতার কোনো অধিকার তৈরি হবে না।

আদালত এই মামলার রায়ে উল্লেখ করেন যে,

𝐖𝐡𝐞𝐫𝐞 𝐭𝐡𝐞 𝐚𝐦𝐨𝐮𝐧𝐭 𝐩𝐫𝐨𝐦𝐢𝐬𝐞𝐝 𝐬𝐡𝐚𝐥𝐥 𝐝𝐞𝐩𝐞𝐧𝐝 𝐨𝐧 𝐬𝐨𝐦𝐞 𝐨𝐭𝐡𝐞𝐫 𝐜𝐨𝐦𝐩𝐥𝐢𝐦𝐞𝐧𝐭𝐚𝐫𝐲 𝐟𝐚𝐜𝐭𝐬 𝐨𝐫 𝐟𝐮𝐥𝐟𝐢𝐥𝐥𝐦𝐞𝐧𝐭 𝐨𝐟 𝐚𝐧𝐨𝐭𝐡𝐞𝐫 𝐩𝐫𝐨𝐦𝐢𝐬𝐞 𝐚𝐧𝐝 𝐢𝐟 𝐜𝐡𝐞𝐜𝐤 𝐢𝐬 𝐢𝐬𝐬𝐮𝐞𝐝 𝐨𝐧 𝐭𝐡𝐚𝐭 𝐛𝐚𝐬𝐢𝐬, 𝐛𝐮𝐭 𝐭𝐡𝐞 𝐩𝐫𝐨𝐦𝐢𝐬𝐞 𝐢𝐬 𝐧𝐨𝐭 𝐟𝐮𝐥𝐟𝐢𝐥𝐥𝐞𝐝 𝐢𝐭 𝐰𝐢𝐥𝐥 𝐧𝐨𝐭 𝐜𝐫𝐞𝐚𝐭𝐞 𝐚𝐧𝐲 𝐨𝐛𝐥𝐢𝐠𝐚𝐭𝐢𝐨𝐧𝐬 𝐨𝐧 𝐭𝐡𝐞 𝐩𝐚𝐫𝐭 𝐨𝐟 𝐭𝐡𝐞 𝐝𝐫𝐚𝐰𝐞𝐫 𝐨𝐟 𝐭𝐡𝐞 𝐜𝐡𝐞𝐜𝐤 𝐨𝐫 𝐚𝐧𝐲 𝐫𝐢𝐠𝐡𝐭 𝐰𝐡𝐢𝐜𝐡 𝐜𝐚𝐧 𝐛𝐞 𝐜𝐥𝐚𝐢𝐦𝐞𝐝 𝐛𝐲 𝐭𝐡𝐞 𝐇𝐨𝐥𝐝𝐞𝐫 𝐨𝐟 𝐭𝐡𝐞 𝐜𝐡𝐞𝐪𝐮𝐞.

চেক ডিজঅনার হলে দেওয়ানী আদালতে মামলা করার পদ্ধতি

আমরা জানি চেক ডিসঅনারের মামলা কিছুটা দেওয়ানী এবং কিছুটা ফৌজদারী প্রকৃতির। তাই চেক ডিসঅনার হলে দেওয়ানী আদালতেও মামলা দায়ের করা যায়। দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৭ আদেশের ১-৭ বিধিতে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে এরকম বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান রাখা হয়েছে। অন্যান্য দেওয়ানী মামলার ন্যায় সাধারণ পদ্ধতিতে মামলা পরিচালিত হলে অনেক সময়ের অপচয় হবে। তাই চেক ডিজঅনারের মামলা দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৭ আদেশের অধীনে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে মামলা পরিচালনার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, বিবাদীকে এক্ষেত্রে লিখিত জবাব দাখিল করতে হয় না।

নোট: দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৭ আদেশের ১ বিধিতে বলা হয়েছে, হস্তান্তরযোগ্য দলিল বিষয়ে মামলা কেবলমাত্র হাইকোর্ট বিভাগ এবং জেলা জজ আদালতে দায়ের করা যাবে। আমরা জানি “চেক (cheque)” একটি হস্তান্তরযোগ্য দলিল। তাই চেক ডিজঅনার হলে দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৭ আদেশের অধীনে হাইকোর্ট বিভাগ অথবা জেলা জজ আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা করা যায়। মোকদ্দমা দায়েরের ক্ষেত্রে দেওয়ানী কার্যবিধির ১৫ ধারার বিধান বিবেচনায় রাখতে হবে। ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, বিচার করার এখতিয়ার সম্পন্ন সর্বনিম্ন আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করতে হবে। তাই বাদীকে এই ধরণের মামলা জেলা জজ আদালতে দায়ের করতে হবে। এক্ষেত্রে বাদী হাইকোর্ট বিভাগকে এই ধরণের মামলা আমলে নিতে বাধ্য করতে পারবে না।[𝐁𝐞𝐧𝐠𝐚𝐥 𝐓𝐞𝐜𝐡𝐧𝐨 𝐂𝐨𝐧𝐬𝐮𝐥𝐭 𝐯. 𝐑𝐞𝐠𝐢𝐬𝐭𝐫𝐚𝐫, 𝟐𝟎𝟎𝟓 𝐁𝐂𝐑 𝟏𝟑𝟑]

চেক ডিজঅনারের কারণে ১৩৮ ধারায় মামলা না করে দন্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারায় মামলা করা যায় কিনা?

১৮৮১ সালের হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারার শুরুতে ” Notwithstanding anything contained in” শব্দগুলোর অনুপস্থিতি প্রমাণ করে উক্ত ধারায় কোনো “Non-obstante clause” নেই। তাই ১৩৮ ধারার অপরাধের কারণে বাদী শুধুমাত্র হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের অধীনেই মামলা করতে পারবে-এই কথাটা ঠিক নয়। দন্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারার অধীনে আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রেও বাদীর কোন বাধা নেই।

নুরুল ইসলাম বনাম রাষ্ট্র এবং অন্যান্য [49 DLR(HCD) 464] মামলায় উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনা করে হাইকোর্ট বিভাগ মতামত দেন যে, বাদীপক্ষ ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ৪২০ ধারায় আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারবে।

উপরের আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, চেক ডিজঅনার হলে বাদীপক্ষ আসামীর বিরুদ্ধে ১৮৮১ সালের হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারায় মামলা করতে পারবে অথবা ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারাতেও মামলা করতে পারবে।

(১৪) চেক ডিজঅনারের মামলা চলাকালীন সময়ে আসামীর মৃত্যু হলে উক্ত টাকা আদায়ের পদ্ধতি চেক ডিজঅনারের মামলা দায়ের করার আগেই চেকদাতা মৃত্যুবরণ করলে চেক গ্রহীতার আর কোনো প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ থাকে না। এমনকি আসামী মামলা চলমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেও তার উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ মামলা চালাতে পারে না। মামলা দায়েরের আগে বা পরে যখনই আসামী মারা যাক না কেনো উভয় ক্ষেত্রেই বাদীর প্রতিকার হলো মৃত ব্যক্তি উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে টাকার মামলা দায়ের করে উক্ত টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা।

চেক ডিজঅনার হলে শাস্তি বা জরিমানা

ক. এক বছর পর্যন্ত কারাদন্ড।

খ. অথবা জরিমানা যা চেকে উল্লেখিত টাকার ৩ গুন।

গ. অথবা উভয়।

নোট: হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩৮(১) ধারায় চেক প্রত্যাখিত হবার শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এখানে বলা আছে চেক ডিজঅনারের শাস্তি হল ১ বছরের কারাদন্ড অথবা চেকে উল্লেখিত টাকার ৩ গুন জরিমানা অথবা উভয়। এখন কথা হল চেক ডিজঅনারের শাস্তি যদি চেকে উল্লেখিত টাকার ৩ গুন জরিমানা হয়, তাহলে টাকাটা কে পাবে? এক্ষেত্রে চেকগ্রহীতাকে তার দাবীকৃত টাকাটা পরিশোধ করে বাকী টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে চলে যাবে।

হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১ এর ১৩৮(২) ধারার বলা হয়েছে,উপ-ধারা(১) মোতাবেক যেক্ষেত্রে অর্থদন্ড আদায় হয় সেক্ষেত্রে আদায়কৃত অর্থদন্ড হতে চেকে বর্ণিত টাকা যতদুর পর্যন্ত আদায়কৃত অর্থদন্ড হতে প্রদান করা সম্ভব চেকের ধারককে প্রদান করতে হবে। সুতরাং চেকের ধারক বা গ্রহীতা চেকে বর্ণিত টাকার বেশী পরিমান অর্থ পাওয়ার অধিকারী নয়। কোন আদালত চেকে বর্ণিত টাকার তিনগুণ পর্যন্ত জরিমানা করলেও বাদীকে চেকে বর্ণিত টাকা প্রদানের নির্দেশ দিয়ে বাকী টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দিবেন।

চেক মামলা থেকে বাচার উপায়?

আপীল

ক. ১৩৮ ধারায় চেক ডিজঅনার মামলায় প্রদত্ত দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যাবে।

খ. ১৩৮ ধারায় প্রদত্ত দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে কোথায় আপীল করা যাবে সে সম্পর্কে ১৩৮ থেকে ১৪১ ধারায় কিছু বলা হয়নি।

গ. এক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির আপীলের বিধান প্রযোজ্য হবে।

ঘ. ১৩৮ ধারায় প্রদত্ত দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যাবে দায়রা জজের নিকট।

নোট: আপীল সম্পর্কে কিছু কথা বলে রাখা প্রয়োজন।হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনে আপীল সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। এক্ষেত্রে CrPC এর আপীলের বিধান কার্যকর হবে। চেক ডিসঅনারের মামলাটি যখন যুগ্ম দায়রা জজ কর্তৃক বিচার হয়, তাহলে দায়রা জজের নিকট ৩০ দিনের মধ্যে আপীল করতে হবে। এক্ষেত্রে CrPC এর ৪০৮ ধারার আপীলের বিধানটি প্রযোজ্য হবে। এখানে বলা হয়েছে, যুগ্ম দায়রা জজের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজের নিকট আপীল করা যাবে।

আপীল দায়েরের পূর্বশর্ত

চেক ডিজঅনারের মামলায় চেকে উল্লেখিত অর্থের সর্বনিম্ন ৫০% জমা দিয়ে আপীল দায়ের করতে হবে। চেক ডিজঅনারকৃত চেকের টাকার ৫০% টাকা যে আদালত শাস্তি সে আদালতে জমা দিয়ে আপীল দায়ের করতে হবে।তার মানে ৫০% টাকাটা বিচারিক আদালতে জমা দিতে হবে,আপীল আদালতে নয়।

রিভিশন দায়ের

চেক ডিসঅনারের মামলায় রিভিশন দায়ের করা যায়। শুধুমাত্র আইনগত প্রশ্নে রিভিশন দায়ের করা যায়। এখানেও ফৌজদারী কার্যবিধির রিভিশনের বিধান প্রযোজ্য হবে। এখানে বলা হয়েছে, আইনগত প্রশ্নে রিভিশন দায়ের করা যায়। এখন কথা হলো আইনগত প্রশ্ন বলতে আমরা কি বুঝি? যেমন-ব্যাংক থেকে চেকটি অপরিশোধিত হয়ে আসার পর ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতাকে নোটিশ না দেয়া। এটাও একটা আইনগত প্রশ্ন। আবার মামলা করার কারণ আছে কিনা এটাও একটা আইনগত প্রশ্ন। মামলাটি তামাদিতে বারিত কিনা, এটাও একটা আইনগত প্রশ্ন।

১৩৮ ধারার মামলা থেকে আইনগত বিষয় উদ্ভূত হলে ফৌজধারী কার্যবিধির ৪৩৯ ধারা মতে হাইকোর্ট বিভাগে অথবা একই আইনের ৪৩৯ক ধারা মতে দায়রা আদালতে রিভিশন দায়ের করা যায়। আগে একমাত্র হাইকোর্ট বিভাগ রিভিশন ক্ষমতা প্রয়োগ করতেন।১৯৭৮ সালে Law Reforms Ordinance দ্বারা ফৌজদারী কার্যবিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে দায়রা জজকে রিভিশন ক্ষমতা প্রদান করা হয়।

রিভিশন দায়েরের সময়সীমা

তামাদি আইনে ফৌজদারী মামলায় রিভিশন দায়েরের সময়সীমা সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।এক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের case law এর সিদ্ধান্ত অনুসরণ করা হবে।উচ্চ আদালত অভিমত প্রকাশ করেন,”ফৌজদারী আপীল মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে প্রচলিত সময়সীমাই রিভিশন মামলা দায়েরের সময়সীমা বলে গণ্য হবে।”

১৯০৮ সালের তামাদি আইনের ১৫৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,বিচারিক আদালত রায় প্রদানের ৬০ দিনের মধ্যে ফৌজদারী আপীল দায়ের করতে হয়।রিভিশন দায়েরের ক্ষেত্রেও একই সময়সীমা প্রযোজ্য হবে।তার মানে বিচারিক আদালত কর্তৃক রায় প্রচারের ৬০ দিনের মধ্যে রিভিশন দায়ের করতে হবে।

রিভিশন নিষ্পত্তির সময়সীমা

ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৪২ক(২) ধারায় বলা হয়েছে,পক্ষগণের উপর নোটিশ জারী হওয়ার তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে রিভিশন আদালত রিভিশন কার্যক্রম নিষ্পত্তি করবেন।

নোট:ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৩৯ক(২) ধারায় বলা হয়েছে,কোন পক্ষ কর্তৃক দায়রা জজের নিকট রিভিশন দায়ের করা হলে,এই বিষয়ে দায়রা জজের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।তার মানে ফৌজদারী মামলায় দ্বিতীয় রিভিশনের কোন সুযোগ নেই।

রিভিউ (𝗥𝗲𝘃𝗶𝗲𝘄)

দেওয়ানী মোকদ্দমায় রিভিউ(Review) করার বিধান রয়েছে। দেওয়ানী কার্যবিধির ১১৪ ধারা এবং ৪৭ আদেশে রিভিউ করার বিধান আছে। ক্রিমিনাল মামলায় রিভিউ করার কোন বিধান নেই। ফৌজদারী কার্যবিধিতে রিভিউ সংক্রান্ত কোন বিধান রাখা হয়নি। তাই ক্রিমিনাল মামলায় রিভিউ করার কোন সুযোগ নেই। তবে উচ্চ আদালতের বিভিন্ন মামলার সিদ্ধান্ত থেকে দেখা যায়, ১৩৮ ধারার চেক ডিজঅনারের মামলা কিছুটা ফৌজদারী এবং কিছুটা দেওয়ানী প্রকৃতির। তার আলোকে চেক ডিজঅনারের মামলায় রিভিউ করা যেতে পারে।

𝐍𝐢𝐳𝐚𝐦 𝐔𝐝𝐝𝐢𝐧 𝐌𝐚𝐡𝐦𝐨𝐨𝐝 𝐯. 𝐀𝐛𝐝𝐮𝐥 𝐇𝐚𝐦𝐢𝐝 𝐁𝐡𝐮𝐢𝐲𝐚𝐧 𝐚𝐧𝐝 𝐚𝐧𝐨𝐭𝐡𝐞𝐫[𝟐𝟒 𝐁𝐋𝐃 (𝟐𝟎𝟎𝟒)(𝐀𝐃)𝟐𝟑𝟗] মামলায় সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ চেক ডিসঅনার সংক্রান্ত মামলায় রিভিউ সংক্রান্ত বিধানের অনুমতি দিয়েছেন।

Legal NoticeDemand Notice
আইনি নোটিশ হল দেওয়ানি বিরোধের ক্ষেত্রে আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য একজন ব্যক্তি বা একটি কোম্পানির পক্ষ থেকে অন্য পক্ষকে একটি লিখিত আইনি সতর্কতা।একটি ডিমান্ড নোটিশ হল পাওনাদারের কাছ থেকে দেনাদারের পাওনা অর্থ পরিশোধের জন্য একটি লিখিত অনুরোধ।
A Legal Notice is sent in the cases of Civil Disputes.Demand Notice under section 138 is mainly sent incases of non-payment of the debts.
For example, Cheque Bounce, Money Fraud, Divorce cases, Employee/Employer Issue, Owner/Tenant Issue.For example, Loan

তাহমিদুর রহমান রিমুরা টি এল এস ল ফার্ম কর্তৃক চেক ডিজঅনার মামলার নতুন নিয়ম ২০২8 এ মামলায় আইনী সেবা:

তাহমিদুর রহমান রিমুরা টি এল এস ল ফার্ম একটি সনামধন্য ‘ল’ চেম্বার যেখানে ব্যারিস্টারস , আইনজীবীর মাধ্যমে সকল বিষয়ে আইনগত সহায়তা, পরামর্শ প্রদান করে থাকে। কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর জন্য যে কোন প্রশ্ন বা আইনী সহায়তার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ-


GLOBAL OFFICES:
DHAKA: House 410, ROAD 29, Mohakhali DOHS
DUBAI: Rolex Building, L-12 Sheikh Zayed Road
LONDON: 1156, St Giles Avenue, 330 High Holborn, London, WC1V 7QH

 Email Addresses:
info@trfirm.com
info@trwbd.com
info@tahmidurrahman.com

 24/7 Contact Numbers, Even During Holidays:
+8801708000660
+8801847220062

+8801708080817

কোম্পানীর গঠনতন্ত্র নমুনা

কোম্পানীর গঠনতন্ত্র নমুনা

একটি কোম্পানির সংবিধান হল একটি আইনি দলিল যা একটি কোম্পানির অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে এমন নিয়ম ও প্রবিধানগুলিকে স্থির করে। এটি কোম্পানি এবং এর স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে একটি চুক্তিগত চুক্তি হিসাবে কাজ করে, তাদের অধিকার, বাধ্যবাধকতা এবং সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে সম্পর্কগুলিকে সংজ্ঞায়িত করে

একটি কোম্পানির সংবিধানের উদ্দেশ্য

একটি কোম্পানি গঠনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল শাসনের জন্য একটি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াগুলিতে স্পষ্টতা এবং সুসংগততা প্রদান করা। স্টেকহোল্ডারদের ভূমিকা এবং দায়িত্বগুলি সংজ্ঞায়িত করে, এটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং দক্ষতার প্রচার করে।

একটি কোম্পানির সংবিধানের মূল উপাদান


শাসনের শ্রেণিবিন্যাস


একটি কোম্পানির সংবিধান সাধারণত শেয়ারহোল্ডার, পরিচালক এবং অফিসার সহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের ক্ষমতা এবং দায়িত্বগুলিকে বর্ণনা করে শাসনের শ্রেণীবদ্ধ কাঠামোর রূপরেখা দেয়।

শেয়ারহোল্ডার অধিকার এবং দায়িত্ব

এটি শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার, যেমন ভোটের অধিকার, লভ্যাংশের এনটাইটেলমেন্ট, এবং তথ্য অ্যাক্সেসকে অন্তর্ভুক্ত করে, পাশাপাশি কোম্পানির প্রতি তাদের বাধ্যবাধকতার রূপরেখা দেয়।

পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা

সংবিধান সিদ্ধান্ত গ্রহণের কর্তৃত্ব, কৌশলগত তদারকি, এবং কোম্পানি এবং এর শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি বিশ্বস্ত দায়িত্ব সহ পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব, ক্ষমতা এবং দায়িত্বগুলি নির্দিষ্ট করে।

কোম্পানির নীতি ও পদ্ধতি

এতে কোম্পানির নীতি এবং পদ্ধতি সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যেমন কর্পোরেট গভর্নেন্স নির্দেশিকা, স্বার্থের দ্বন্দ্ব নীতি এবং আচরণবিধি।

একটি কোম্পানি সংবিধান খসড়া

একটি কোম্পানির সংবিধানের খসড়া তৈরির জন্য আইনী প্রয়োজনীয়তা, ব্যবসায়িক চাহিদা এবং স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থের যত্নশীল বিবেচনা প্রয়োজন। প্রাসঙ্গিক আইন ও প্রবিধান মেনে চলার সাথে সাথে এটি কোম্পানির নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য এবং উদ্দেশ্য অনুসারে তৈরি করা উচিত। নথির পর্যাপ্ততা এবং প্রয়োগযোগ্যতা নিশ্চিত করতে প্রায়ই আইনি বিশেষজ্ঞ বা কর্পোরেট অ্যাটর্নিদের সাথে পরামর্শ করা হয়।

একটি কোম্পানি গঠন থাকার সুবিধা

সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা

একটি ভাল খসড়া কোম্পানির সংবিধান সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় স্পষ্টতা এবং নিশ্চিততা প্রদান করে, অস্পষ্টতা হ্রাস করে এবং স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রশমিত করে।

দ্বন্দ্ব সমাধানের প্রক্রিয়া

এটি সংস্থার মধ্যে বিরোধ এবং দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য ব্যবস্থা স্থাপন করে, যার ফলে কর্পোরেট বিষয়ে সম্প্রীতি এবং স্থিতিশীলতা প্রচার করে।

স্টেকহোল্ডার স্বার্থ সুরক্ষা

স্টেকহোল্ডারদের অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা বর্ণনা করে, একটি কোম্পানির সংবিধান তাদের স্বার্থ রক্ষা করে এবং সংস্থার মধ্যে ন্যায়সঙ্গত আচরণ নিশ্চিত করে।

একটি কোম্পানির সংবিধানের খসড়া তৈরিতে চ্যালেঞ্জ

এর সুবিধা থাকা সত্ত্বেও, একটি কোম্পানির সংবিধানের খসড়া তৈরি করা কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি করে, যেমন নমনীয়তা এবং অনমনীয়তার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা, আইনি প্রয়োজনীয়তাগুলির সাথে সম্মতি নিশ্চিত করা এবং স্টেকহোল্ডারদের বিভিন্ন স্বার্থকে সম্বোধন করা।

অ্যাসোসিয়েশনের নিবন্ধগুলির সাথে তুলনা

উদ্দেশ্য অনুরূপ হলেও, একটি কোম্পানির সংবিধান ক্ষেত্র এবং বিষয়বস্তুতে অ্যাসোসিয়েশনের নিবন্ধ থেকে পৃথক। অ্যাসোসিয়েশনের নিবন্ধগুলি প্রশাসনিক এবং পদ্ধতিগত বিষয়গুলিতে ফোকাস করলে, একটি কোম্পানির সংবিধান বৃহত্তর প্রশাসনিক নীতি এবং স্টেকহোল্ডারদের অধিকারকে অন্তর্ভুক্ত করে।

কার্যকরী কোম্পানি গঠনের উপর কেস স্টাডিজ

বেশ কিছু কেস স্টাডি কর্পোরেট গভর্নেন্সের প্রচার, ঝুঁকি কমানো এবং স্টেকহোল্ডারদের আস্থা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কার্যকর কোম্পানি গঠনের গুরুত্ব তুলে ধরে। উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে এমন সংস্থাগুলি যারা সুস্পষ্ট এবং ব্যাপক সাংবিধানিক কাঠামোর মাধ্যমে শাসন চ্যালেঞ্জগুলি সফলভাবে নেভিগেট করেছে।

একটি কোম্পানির সংবিধান বজায় রাখা এবং আপডেট করার জন্য টিপস

একটি কোম্পানির সংবিধানের প্রাসঙ্গিকতা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য, নিয়মিত পর্যালোচনা এবং আপডেট অপরিহার্য। কোম্পানির উচিত আইনি উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ, পরিবর্তনশীল ব্যবসায়িক চাহিদার মূল্যায়ন এবং স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া চাওয়ার জন্য প্রক্রিয়া স্থাপন করা।

কোম্পানি গঠনতন্ত্র উন্নয়ন ভবিষ্যতে প্রবণতা

কর্পোরেট ল্যান্ডস্কেপ যেমন বিকশিত হয়, তেমনি কোম্পানি গঠনেরও বিকাশ ঘটবে। ভবিষ্যত প্রবণতাগুলির মধ্যে স্থায়িত্ব, বৈচিত্র্য এবং স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ততার উপর বৃহত্তর জোর দেওয়া এবং সেইসাথে শাসনের উদ্দেশ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির একীকরণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

উপসংহার

উপসংহারে, একটি কোম্পানির সংবিধান কার্যকর কর্পোরেট শাসন প্রতিষ্ঠা ও বজায় রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে কাজ করে। একটি সংস্থার মধ্যে নিয়ম, অধিকার এবং সম্পর্কগুলি সংজ্ঞায়িত করে, এটি স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং আস্থা বৃদ্ধি করে। কোম্পানীর সংবিধানের খসড়া তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণ করার সময় চ্যালেঞ্জ হতে পারে, স্বচ্ছতা, স্থিতিশীলতা এবং স্টেকহোল্ডার সুরক্ষার সুবিধা জড়িত জটিলতার চেয়ে অনেক বেশি।

Bangladesh trademark registration A-Z

Bangladesh trademark registration A-Z

Trademarks are names, domain names, words, phrases, logos, symbols, colors, designs, images, slogans, or combinations of them. It represents an enterprise’s name, goodwill, or reputation via a symbol, sign, or other means. Unregistered trademarks are denoted by TM or SM, whereas registered ones are marked by the circular R. Trademark registration processes are below.

Applying for Registration


The Department of Patents, Designs, and Trademarks’ ‘Trademarks Registry Wing’ accepts applications for registration. Head office or branch offices may accept registration applications. During application, remember which are trademarkable and which are not. Sections 8, 9, 10 list non-registrable matters.

A separate application is needed for each kind of products or services that may be trademarked. The Act defined “Distinctive Mark” as “a trademark which distinguishes the proprietor’s goods or services, as the case may be, from the goods or services, of the same kind in another enterprise’s trade or business”—the main need for registration.

The Registrar accepts or rejects

The Registrar may approve an application unconditionally or conditionally (subject to additions, alterations, and limitations) or decline it with reasons. If the Registrar detects a mistake or conditional conditions, he might revoke approval. The applicant gets a hearing for withdrawal.

Advertisement

After approval (or occasionally earlier), the Registrar announces the application in “Advertisement”. Within two months of such advertising, the applicant may get “opposition claim” notification and must submit “counter-statement” within two months. The case must be resolved in 120 days. Registrar will contact both parties and may grant registration unconditionally or conditionally after hearing their claims.

Without guarantee for proceeding expenses, an applicant or opposer outside Bangladesh may drop their application or objection. The Registrar may fix application and opposition claim or counter-statement inaccuracies.

Last Decision

After unconditional acceptance, unopposed application, or opposed and determined application, the Registrar registers the trademark in the relevant Register, giving it effect from the application date. Trademarks Registry certificates prove registration, and the Registrar may correct “clerical errors or obvious mistakes” after issuance.

Registration term

The original registration lasts seven years, but it may be renewed for 10 years after meeting fees and other requirements. If these standards are not met, the registrar may withdraw the trademark. Application for restoration is allowed within one year following removal.

The common law tort of “passing off” protects unregistered trademarks. Our Act protects this right via 24(2) and prohibits unregistered trademark proceedings. The owner has exclusivity and the ability to transfer/assign the item or service after registration.

Unregistered trademarks need goodwill vesting for transfer or assignment. Thus, trademark registration is recommended to conveniently enforce claims over products and services and facilitate transfer or transmission.

Trademarks play a crucial role in protecting intellectual property, and registering one involves a series of well-defined steps. Below is a simplified guide to the process of trademark registration in Bangladesh:

First, search for trademark registration

Before registering, check whether the mark is already registered. Although optional, this step prevents conflicts. Submit FORM TM-4 and fees to search:

  • Government Fee: Tk 2000
  • VAT: 15%
  • Various Cost: Tk 500
  • This search usually takes 2–3 days.

Second: Power of Attorney

For foreigners or representatives, a Power of Attorney must be provided to a lawyer or representative. Send FORM TM-10 with these fees:

  • Government Fee: Tk 1000
  • VAT: 15%

Step 3: Applying for trademarks online

a) Documents/Info needed:

You require mark details, applicant information, products or services specifications, and a photocopy of the application to submit the application. The Trademark Registry for the major business location must receive the application.

b) Filing jurisdiction:

The Trademark Registry office accepts online applications and charges:

  • Tk 5000 government fee
  • VAT: 15%

Step 4: Application Acceptance

An automated receipt with filing details will be provided to you after submission.

Step 5: Application Review

The Registrar checks trademark distinctiveness. If approved, a Letter of Acceptance and Trade Marks Journal publication follow. The procedure takes 3-6 months.

Step 6: Journal publication

The Trade Marks Journal publishes the proposed trademark and invites public objection within two months. The application is abandoned if the journal fee is not paid within one month.

Form TM-9 for publication:

  • Government Fee: Tk 3000
  • VAT: 15%

Step 7: Opposition (if required)

Anyone may file FORM TM-5 Opposition within two months following publication. Opposition includes counterstatements and appeals.

Process of Opposition:

  • Tk 5000 government fee
  • VAT: 15%


Contrary Statement and Appeal:

  • Government Fee: Tk 4000
  • VAT: 15%

Step 8: Register

After opposition, the Registrar tells the applicant to pay fees if there’s no disagreement. A Certificate of Registration is given after payment, valid for 7 years after filing.

Fill out TM-11 to register:

  • Government Fee: Tk20,000
  • VAT: 15%

Step 9: Trademark Renewal

Trademarks may be renewed indefinitely for fees. Failure to renew may result in Registrar removal.

Form TM-12 for renewal:

  • Government Fee: Tk20,000
  • VAT: 15%
  • Late renewal within four months of expiration requires FORM TM-17 and extra fees:
  • Renew: Tk 20,000
  • Late fee: Tk 5,000
  • VAT: 15%

Call us!