How to open a Liaison office in Bangladesh -Registration and Incorporation Procedure of Liaison office in BangladeshTahmidur Rahman Senior Associate, Counsels Law Partners2 Feb 2020This post in details will explain in details about the process of opening a liaison...

চেক ডিসঅনার মামলা | কিভাবে চেক প্রতারনায় প্রতিকার পাবেন ২০২২ এ
চেক ডিসঅনার মামলা | কিভাবে চেক প্রতারনায় প্রতিকার পাবেন ২০২২ এ | Effective Solutions to Cheque Dishonour in 2022
11 Jan 2022

তাহমিদুর রহমান, Director and Senior Associate
চেক ডিসঅনার মামলা এবং প্রতিকার – চেক একটি হস্তান্তরযোগ্য দলিল। একটি হস্তান্তরযোগ্য দলিল হল একটি কাগজের টুকরো যা একজন ব্যক্তিকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে এবং শুধুমাত্র অর্পণের মাধ্যমে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে স্থানান্তরিত হয়। এই পোস্টটিতে আমরা চেক ডিসঅনার অথবা বাউন্স করলে আপনারা কি করতে পারেন তা নিয়ে বিশদ পর্যালোচনা করব।
Table of Contents
Find the subsections below, If you want to jump through specific sections instead of reading the whole article.

চেক ডিসঅনার কি? চেক ডিসঅনার মামলা
ঋণ বা বাধ্যবাধকতা নিষ্পত্তি করার জন্য দৈনন্দিন জীবনে চেক ব্যবহার করা হয়। তবে, অনেক ক্ষেত্রে, চেকের প্রাপককে চেক প্রদানকারী অর্থ প্রদান করতে অক্ষম হয় যদি চেকের উপর বর্ণিত পরিমাণ ইস্যুকারীর ( চেক প্রদানকারীর) অ্যাকাউন্টে না থাকে। অপর্যাপ্ত তহবিলের জন্য চেকটি ব্যাংক প্রত্যাখ্যান করে। এই ঘটনাটি চেক ডিজঅনার নামে পরিচিত।
কি কারনে চেক ডিসঅনার হাতে পারে
কখন এবং কি কারণে একটি চেক ডিসঅনার হাতে পারে পারে?
- ব্যাংক হিসাবে আপনার যদি তহবিল বা অর্থের অভাব হয়। এবং যখন চেক এর উল্লিখিত অর্থ আপনার ব্যাংক এর বর্ণিত পরিমাণের চেয়ে কম।
- যিনি চেক ইস্যু করেছেন তার স্বাক্ষর না মিললে ।
- চেকে উল্লিখিত পরিমাণ এবং পরিমাণের মধ্যে পার্থক্য থাকলে।
- চেকের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে।
- চেক সঠিকভাবে সম্পন্ন না হলে।
- চেকে ঘষামাজা করলে অথবা চেক পরিবর্তন করলে।
কখন একটি চেক অসম্মানজনক অথবা ডিসঅনারড বলে বিবেচিত হয়?
যদি চেকটি ইস্যু তারিখের ৬ মাসের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জমা করা হয় এবং ব্যাংকে চেকের সমপরিমাণ টাকা সেই একাউন্টে না থাকার কারণে ব্যাংক চেকটি প্রত্যাখ্যান করে, তবে চেকটি বিতরণযোগ্য হবে না। ব্যাঙ্ক একটি নথি জারি করবে যে আপনি কেন অসম্মান করেছেন।
এ ক্ষেত্রে আপনি যদি চেক ইস্যু করার তারিখের ৬ মাসের মধ্যে ব্যাঙ্কে যান এবং চেকটি রিডিম করেন, আপনি দেখতে পাবেন যে চেকটি অনার এর জন্য দেওয়া হয়নি কিন্তু ফেরত দেওয়া হয়েছে, এবং আপনার এই আইনের অধীনে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের অর্থাৎ চেক ডিসঅনার মামলা করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অর্থাৎ, আপনার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, অর্থাৎ চেক ইস্যু করার তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে নগদীকরণের জন্য চেকগুলি অবশ্যই ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে।
পরবর্তীতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অপর্যাপ্ত অর্থের কারণে, আপনাকে অবশ্যই চেকের অসম্মানের ৩০ দিনের মধ্যে অর্থ প্রদানের জন্য চেক প্রদানকারীকে আইনি নোটিশ দিতে হবে।
যদি চেক প্রদানকারী নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে চেক প্রদানকারীকে চেকটিতে উল্লেখিত পরিমাণ অর্থ প্রদান না করে, তাহলে চেক প্রাপক একটি প্রক্রিয়া দায়ের করতে পারেন।
সংক্ষেপে প্রয়োজনীয় তিনটি ধাপ:
- এই পদক্ষেপের ৩০ দিনের মধ্যে, আপনাকে অবশ্যই একটি নোটিশ সহ চেক প্রদানকারীকে অবহিত করতে হবে এবং অর্থপ্রদানের জন্য আহবান করতে হবে।
- চেক দাতা সময়মতো চেকর অর্থ দেবে বা নোটিশ এর যথাযথ উত্তর আপনাকে জানাবেন।
- যদি তিনি অর্থ প্রদান না করেন বা উনার অজুহাত আপনার কাছে উপযুক্ত মনে না হয়, তাহলে আপনি পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে স্থানান্তরযোগ্য নথি আইন, 181 এর ধারা 138 এর অধীনে একটি মামলা করতে পারেন৷

চেক প্রতারনায় প্রতিকার ও চেক ডিসঅনার মামলা
নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্ট (এনআই অ্যাক্ট) এর ধারা 138, 140 এবং 141 যদি একটি চেক প্রত্যাখ্যান করা হয় বা অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে অর্থ প্রদান না করা হয় তবে ক্ষতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা অর্থাৎ চেক প্রতারনায় প্রতিকার প্রদান করে।
কিভাবে নোটিশ দেবেন?
আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে এবং আপনার চেক অসম্মানজনক হলে, আপনাকে অবশ্যই চেক প্রদানকারীকে একটি বিধিবদ্ধ নোটিশ দিতে হবে এবং ৩০ দিনের মধ্যে অর্থ প্রদান করতে হবে।
লিগ্যাল নোটিশ তিন ভাবে দেওয়া যেতে পারে।
- নোটিশ গ্রহিতার হাতে সরাসরি নোটিশ প্রদান করে।
- ডাকযোগে চেক প্রদানকারীর ঠিকানায় এবং সর্বশেষ বসবাসের ঠিকানায় প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সহ নোটিশ প্রদান করে।
- সর্বশেষ কোনো জাতীয় বাংলা দৈনিকে নোটিশটি বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে।এ তিন পদ্ধতির যে কোন একটা পদ্ধতি অনুসরণ করলে হবে।
একটি চেক ডিসঅনার মামলা দায়ের করতে আদালতে যে সকল কাগজ পত্র জমা দিতে হবে
- চেক ইস্যুর তারিখ
- ইস্যুকারির নাম ও তথ্য / কোন কোম্পানি হলে তার বিস্তারিত তথ্য
- চেক ডিজঅনার হবার তারিখ
- চেকের বিস্তারিত তথ্য [ব্যাংকের নাম, শাখা, হিসেব নম্বার, চেক নম্বর]
- উল্লেখিত টাকার পরিমান
- মূল চেক
- ডিজঅনারের রসিদ
- আইনি নোটিশ বা বিজ্ঞপ্তির কপি
- পোস্টাল রসিদ – প্রাপ্তি রসিদ
- চেক লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য [যদিও সব সময় জরুরী নয়]

মনে রাখবেন, একবার চেক অসম্মান করা হলে, একটি অপরাধ সংঘটিত হয়। যদি, কোনো কারণে, আপনি প্রথম চেকটি পরিশোধ করতে অস্বীকার করার ৩০ দিনের মধ্যে নোটিশ পাঠাতে অক্ষম হন,তাহলে দ্বিতীয়বার চেকটি ডিজঅনার করাতে পারেন। এভাবে একাধিক বার ডিজঅনার করিয়ে নোটিশ পাঠাতে পারেন।
তবে একবার চেক ডিজঅনার হলে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলা করা হলে এক অপরাধের জন্য বারবার মামলা করা যাবে না।
মনে রাখবেন যে আপনাকে অবশ্যই একটি সময়মত এবং উপযুক্ত পদ্ধতিতে আইনি নোটিশ পাঠাতে হবে। এটি করার জন্য, আপনার একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর প্রয়োজন হবে, প্রয়োজনে আপনি আমাদের পেশাদার পরিষেবাগুলি গ্রহণ করতে পারেন৷ মনে রাখবেন, আপনাকে দ্রুত এবং সঠিকভাবে আইনি নোটিশ পাঠাতে হবে৷
“Counsels Law is Considered as one of the leading firms in Company Law in Dhaka, Bangladesh”
Bdlawfirms & Carpe Noctem Bangladesh
চেক ডিজঅনার হলে কোথায় মামলা করবেন :
অভিযোগ বা নালিশি মোকাদ্দমা হিসেবে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এবং যদি মেট্রোপলিটন এলাকার হয় তার জন্য চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে। মামলা দায়ের করার সময় আদালতে মূল চেক, ডিজঅনারের রশিদ, লিগ্যাল নোটিশ, পোস্টাল রশিদ, প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ আদালতে প্রদর্শন করতে হবে।
এসবের ফটোকপি ফিরিস্তি আকারে মামলার আরজীর সঙ্গে আদালতে জমা করতে হবে। আদালত মোকাদ্দমাটি গ্রহন করলে বিবাদীর নামে সমন অথবা ওয়ারেন্ট জারি করতে পারেন। ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলা গ্রহন করলেও মামলাটি মূল বিচার করা হয় দায়রা আদালতে।
চেক ডিজঅনার মামলা এ অপরাধের শাস্তি :
চেক ডিজঅনার মামলা এ শাস্তি হচ্ছে, এক বছর মেয়াদ পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা চেকে বর্ণিত অর্থের তিন গুণ পরিমাণ অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে ও দণ্ডিত হতে পারে।
এখন প্রশ্ন হল চেক ডিস-অনারের শাস্তি যদি চেকে উল্লেখিত টাকার ৩ গুন জরিমানা হয়,তাহলে টাকাটা কে পাবে?
হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন,১৮৮১ এর ১৩৮(২) ধারার বলা হয়েছে,উপ-ধারা(১) মোতাবেক যেক্ষেত্রে অর্থদণ্ড আদায় হয় সেক্ষেত্রে আদায়কৃত অর্থদণ্ড হতে চেকে বর্ণিত টাকা যতদূর পর্যন্ত আদায়কৃত অর্থদণ্ড হতে প্রদান করা সম্ভব চেকের ধারককে প্রদান করতে হবে।

চেকের মামলা থেকে বাচতে চাইলে কি করতে হবে?
অনেক সময় যখন আমরা একটি অবাঞ্ছিত চেক ডিজঅনার মামলা তে জড়িয়ে পড়ি, তখন আমাদের নিজেদের রক্ষা করতে কঠিন সময় হয়।
সুতরাং এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবেঃ
- এমনকি আপনি যদি খুব কাছের ব্যক্তি বা অফিস আপনার কাছে চান তবুও অন্যের কাজের জন্য চেক দেয়া যাবে না।
- চেকবুকটি সাবধানে পাতা গুনে রাখতে হবে কোন বই বা পাতা হারারে সাথে সাথে ব্যাংকে জানাতে হবে এবং জিডি করতে হবে।
- যেখানে সম্ভব, অ্যাকাউন্ট পেচেক ব্যবহার করা আবশ্যক, ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবসা একাউন্ট ব্যবহার করতে হবে এবং ব্যবসায়ীক একাউন্টে লেনদেন করতে হবে।
- চেকের তারিখটি খুব সচেতনভাবে দিতে হবে এবং সেই তারিখটি মাথায় রেখে হিসাব পরীক্ষা করতে হবে।
- যেকোন লেনদেনের জন্য চালান রাখতে হবে।
- যদি বিপদে পরেই যান তবে দ্রুত একজন যোগ্য উকিলের সাহায্য নিয়ে বিষয়টি সমাধান করতে হবে।
অন্নান্য আইনে চেক ডিসঅনারের মামলা
হস্তান্তরযোগ্য নথি আইন ১৮৮১ বলবৎ রয়েছে, তবে আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে, আইনটি বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং নতুন এবং যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
যার নাম দেয়া হয়েছে বিনিময়যোগ্য দলিল আইন, ২০২০ (এখানে ক্লিক করে খসড়া আইনটি দেখে নিন) এবং এই আইনটির খসড়া গত ১৫ জানুয়ারি ২০২০ এ অর্থ মন্ত্রণালয় প্রকাশ করে। এই আইনে চেক ডিসঅনার হলে ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৪ গুন পর্যন্ত অর্থ দণ্ড দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
যখনি খসড়া আইনটি একটি পূর্ণাঙ্গ আইনের মর্যাদা পাবে, আমরা আপনাকে এই আইনের বিশদ বিবরণ প্রদান করব; ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন.
ধরুন, কোনো কারণে এই আইনের অধীনে চেকের মামলাটি সঠিকভাবে প্রক্রিয়া করা সম্ভব হয়নি, বা ধরে নেওয়া হয়েছিল যে অর্থ উদ্ধার করা যাবে না। উদাহরণ স্বরূপ,
ক) ৬ মাসের মধ্যে মামলা না হওয়ায় এ আইনে মামলাটি গ্রহণ করা হয়নি।
খ) এই আইনের অধীন কার্যধারা চলাকালে অভিযুক্তের/ বিবাদীর মৃত্যু হয়।
এই ধরনের পরিস্থিতিতে আরও দুটি বিকল্প খোলা আছে।
১) দন্ডবিধির অধীনে মামলা করা: দন্ডবিধি ৪০৬ ও ৪২০ ধারা (প্রতারণা) অনুসারে ফৌজদারি মামলা করা যায়। কিন্তু এসব মামলার ক্ষেত্রে টাকা ফেরত পাওয়ার সুযোগ নেই। দোষী সাব্যস্ত হলে সাত বছর পর্যন্ত কারাদন্ড ও জরিমানা হতে পারে।
২) দেওয়ানী মামলা করা: চেকের সম্পূর্ণ টাকা আদায় না হলে পরবর্তীতে এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে দেওয়ানী মামলা করা যাবে।
কিভাবে বাংলাদেশ এ আপনি আপনার প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি খুলবেন?
ব্যারিস্টার তাহমিদুর রহমান সিএলপি কর্তৃক চেক ডিসঅনার মামলা সম্পর্কিত আইনী সেবা:
ব্যারিস্টার তাহমিদুর রহমান: সিএলপি একটি সনামধন্য ‘ল’ চেম্বার যেখানে ব্যারিস্টারস এবং আইনজীবীদের মাধ্যমে চেক ডিসঅনারের মামলা সম্পর্কিত সকল প্রকার আইনগত সহায়তা, পরামর্শ প্রদান করে থাকে। কোন প্রশ্ন বা আইনী সহায়তার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ-ই-মেইল: [email protected] ফোন: +8801727983838 , ঠিকানা: জামিলা ভিলা, ফ্ল্যাট-২সি, বাসা-৪/এ/১ (তৃতীয় তল), রোড-০২, গুলশান -১, ঢাকা-১২১২।
চেক ডিজঅনার মামলা সম্পর্কিত প্রশ্ন
চেকের মামলায় রায় পেতে কত সময় লাগে?
চেক দিসঅনার এর মামলার রায় পেতে সাধারণত বছর খানেক সময় লাগতে পারে বা বেশীও সময় লাগতে পারে, অন্য দিকে রাজধানী ঢাকায় মামলার চাপ থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই আরও বেশি সময় লাগে। কিন্তু এর মামলার উকিল এর যোগ্যতা অনুযায়ী মামলার সময় কমে আসতে পারে।
আগাম চেক দিয়ে তারপর জিডি করলে কি হবে?
আমাদের দেশে আগাম চেক দিয়ে অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটি প্রবণতা আছে কিন্তু বিষয়টি আইন সিদ্ধ নয়। কেউ চেক দিয়ে তারপর প্রতারণা করার জন্য বলে যে চেক হারিয়ে গিয়েছিল তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। কিন্তু যেই ব্যক্তি চেক গ্রহীতা তিনি যদি যথাযথ ভাবে প্রমাণ না করতে পারেন যে বৈধ কোন কাজে চেকটা তিনি পেয়েছেন তবে রায় তার বিপক্ষে যেতে পারে।
ভুয়া চেক দিলে কি হবে?
ভুয়া চেক দিলে জাল-জালিয়াতি এবং প্রতারণার মামলা করা যায়।
চেক ডিজঅনারের মামলা করতে হলে কি চুক্তি থাকতে হবে?
না, আলাদা চুক্তি থাকার প্রয়োজন নেই।
চেক হারিয়ে গেলে কি করবেন?
চেক হারিয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব আপনার নিকটস্থ থানায় গিয়ে একটি সাধারন ডাইরী (জিডি) করবেন। অথবা আপনার চেক যে স্থানে হারিয়ে গিয়েছে তার নিকটস্থ থানায় গিয়ে একটি সাধারন ডাইরী (জিডি) করতে পারেন। জিডির সত্যায়িত কপি হিসাবধারী ব্যক্তিগতভাবে ব্যাংক এর সংশ্লিষ্ট শাখায় উপস্থিত হয়ে জিডির কপিটি জমা দেবেন। এক্ষত্রে আপনার হারিয়ে যাওয়া চেক দিয়ে কেও আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবে না। আর আপনি যদি চেক ডিসঅনারের মামলা দায়ের করার পর মূল চেক, ডিজঅনারের রশিদ, পোস্টাল রশিদ, প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ হারিয়ে ফেলেন তাহলে যে স্থানে হারিয়ে গিয়েছে তার নিকটস্থ থানায় গিয়ে একটি সাধারন ডাইরী (জিডি) করতে পারেন হবে। আপনার মামলার সাক্ষ্য গ্রহন সহ অনেক ক্ষেত্রে জিডির সত্যায়িত কপি প্রয়োজন হবে। আবার চেক ডিসঅনার হয়ার পর ডিসঅনার স্লিপ সহ চেক হারিয়ে গেলে এ বিষয়ে থানায় জিডি করে ১৩৮ ধারায় মামলা করা হয় তাহলে মামলার বাদীকে সাক্ষ্যকে সমর্থন করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিলে ধরে নেয়া হয় যে বাদী তার মামলায় উক্ত বিষয়ে প্রমানে সক্ষম হয়েছেন।
চেক ডিজঅনারের মামলায় বাদী/আসামী মৃত্যু হলে চেকের কি হবে?
চেক ডিজঅনারের মামলায় বাদী/আসামী কোন এক পক্ষ মারা গেলে মামলাটি শেষ হয়ে যায় অনেকে মনে করেন। ১৩৮ ধারায় চেক ডিজঅনারের মামলায় এমনটি ঠিক নয়। চেক ডিজঅনারের মামলা অন্য সকল ফৌজদারী মামলা থেকে একটু আলাদা এবং এটি কিছুটা দেওয়ানী প্রকৃ্তির হওয়ায় বাদী অথবা আসামীর মৃত্যুর কারনে মামলা শেষ হয়ে যায় না। বাদীর মৃত্যুর পর তার বৈধ প্রতিনিধি মালার বাদী প্রক্ষভুক্ত হয়ে মামলা পরিচালনা করতে পারবে। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় আসামীর মৃত্যু হলে মামলার আরজী সংশোধন করে মামলা চলানো যায়। মামলা চলমান অথবা মামলা করার পূর্বে আসামীর মৃত্যু হলে বাদীর একমাত্র প্রতিকার হলো আসামীর বৈধ প্রতিনিধি বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে টাকা আদায়ের মামলা করে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা।
চেক ডিজঅনারের মামলায় অপরাধের শাস্তি কি হতে পারে?
সকল সাক্ষ্য প্রমান, জেরা, যুক্তিতর্কের পর আদালত রায় প্রদান করবেন। অপরাধ প্রমান হলে আইন অনুসারে শাস্তি হিসেবে এক বছর কারাদন্ড অথবা চেকে উল্লেখিত অর্থের তিনগুণ পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করতে পারেন।
চেক ডিজঅনারের মামলায় আপিল কিভাবে করতে হবে?
আদালতের রায়ের পরে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। ১৩৮ ধারায় চেক ডিজঅনার মামলায় প্রদও দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যাবে। দায়রা জজ অথবা অতিরিক্ত দায়রা জজের দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল দায়ের করতে হবে এবং যুগ্ম দায়রা জজের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজের নিকট আপীল করা যাবে।
চেক ডিজঅনারের মামলায় আপীল করার পূর্বশর্ত কি কি?
১৩৮ ধারায় চেক ডিজঅনার মামলায় প্রদও দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা্র আগে দন্ডাদেশের উল্লেখিত অর্থের ৫০% আদালতে জমা দিয়ে আপীল করতে হবে। ৫০% টাকা বিচারিক আদালতে জমা দিতে হবে অর্থাৎ যে আদালত শাস্তি প্রদান করেছেন সে আদালতে টাকা জমা দিতে হবে।
চেক ডিজঅনার মামলার করার জন্য কি কি কাগজ প্রত্র আদালতে দাখিল করতে হবে?
১। মামলার আরজী/ দরখাস্ত। ২। লিগ্যাল নোটিশ এর ফটোকপি । ৩। লিগ্যাল নোটিশ প্রেরনের ডাক রশিদ এবং এ.ডি এর ফটোকপি। ৪। মূল চেকের ফটোকপি। ৫। ডিসঅনার স্লিপ এর ফটোকপি। ৬। অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র।
ঈনফো-গ্রাফিক্স

Finance
Investment
How to open a Liaison office in Bangladesh – Liaison office formation in 2020
Procedure of Foreign Investment in Bangladesh | Law, Policy, Direct, Angel, Rules, Policy- Everything you need to know in 21st century
Procedure of Foreign Investment in Bangladesh 2020| Law, Policy, Direct, Angel, Rules, Policy- Everything you need to know about Foreign Investment in 21st century BangladeshTahmidur Rahman Director and Senior Associate, Counsels Law Partners17 Jan 2020Procedure of...
Mergers and Acquisitions process | How to efficiently acquire in simple steps in 2022
Mergers and Acquisitions in Bangladesh - Efficient steps in 2022 - M&A ProcessTahmidur Rahman Director and Senior Associate, Counsels Law Partners27 Dec 2019 Updated in Jan 9, 2022Our clients profit from a leading global M&A practice that has worked on more...
NGO and INGO Registration Procedure in Bangladesh
NGO registration in Bangladesh- A complete guide in 2020- Everything you need to knowTahmidur Rahman, Senior Associate, Counsels Law Partners2 Jan 2020This post in details will explain in details about NGO and INGO registration in Bangladesh, the timeline, the...
Charter Party shipping contract in Bangladesh at 2020: Complete guide
Charter Party shipping contract in Bangladesh at 2020: A Complete guideTahmidur Rahman, Senior Associate, Counsels Law Partners2 Jan 2020Table of Contents Find the subsections below, If you want to jump through specific sections instead of reading the whole...
Liquidation or Winding up a company in Bangladesh | Everything you need to know
Liquidation or Winding up a company in Bangladesh | Solvency declarance, Board meeting, declaration filings| Everything you need to know.Tahmidur Rahman, Director and Senior Associate12 Nov 2019This post in will explain in details about the process of Liquidation or...